Donations are essential to keep Write Out Loud going    

প্রকৃতির প্রতিশোধ

প্রকৃতির প্রতিশোধ

আব্দুল হান্নান

হৃদয়ে এ কথা সহসা জাগতেই পারে যে নিথর স্তব্ধ প্রাণহীন প্রকৃতি মনে হয় শুধু ভোগ বিলাশের জন্য।সৃষ্টির অনবদ্য পদচারনার মুখাপেক্ষী হয়ে প্রকৃতি মনে হয় প্রতিক্ষার বলয়ে আবদ্ধ।হস্ত পদহীন প্রকৃতির মাঝে অবিরাম অন্যায়ে বহমান স্রোতধারা স্তব্ধ  করে দেবার মত ক্ষমতা কি প্রকৃতির আছে? লক্ষভেদী সৃষ্টি গুলির লক্ষান্তরালে থেকে পাঁপকে লুকালেইত সব কিছুর সমাধা হলো।বর্ণিত এ সব ধারনা আামাদের মস্তিস্ক প্রসূত চিন্তার ফসল ছাড়া আর কিছুই না।যাদেরকে আমরা জড় স্তব্ধ নিস্তেজ প্রাণহীন স্থবির অসহায় প্রকৃতি মনে করি,সময়ের পরিক্রমায় সে যে কত ভয়ংকর রূপ ধারন করে তা ভুক্তভোগীরা ছাড়া কেউ অনুধাবন করতে পারেনা।প্রকৃতি যখন তাদের কাছ হতে নির্মম ভাবে প্রতিশোধ গ্রহন করে তখন তারা অতিতের সব অপরাধ হতে ক্ষমার জন্য হস্ত প্রসারিত করতে গেলেও নির্দিষ্ট একটা সময়ে প্রকৃতির নির্মমতার স্বীকার তাকে হতেই হয়। প্রকৃতির সাথে সময়ের সম্পর্ক অত্যান্ত নিগুঢ়।প্রকৃতির ভিতর ঘটে যাওয়া ভালো মন্দ প্রত্যেকটা কর্মের সাক্ষী হচ্ছে সময়।সময়ের আবর্তনে প্রকৃতির স্মৃতি চিহ্নের পরিবর্তন হলেও পরিবর্তিত স্থানের ঘটনার সাক্ষী ঐ সময়টা রয়ে যায়।অতিতের ইতিহাস এ সাক্ষই প্রধান করে যে ধারার প্রকৃতিতে অপরাধ করে কেউ পার পাইনি।অন্যায় অপরাধ, জুলুম নির্যাতন করে জীবনের উত্থান ঘটিয়েছে এমন ইতিহাস বিশ্ব প্রকৃতিতে অনেক।অপরাধের মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে জৌলুসতার পূর্বেই অনেকে হইত পটল তুলেছে কিন্ত অপরাধে গড়া সম্পদের পাহাড় দিয়ে গেছে পরবর্তী বংশধরদের।প্রকৃতির সাক্ষী সময় ওদের ঘটনা দেখে শুধু মুচকী হাসে আর বলে আমি সন্নিকটে,পূর্ববর্তীদের পাঁপের মাশুল পরবর্তীদের ঐ সময়তেই দিতে হয় পরবর্তীরা যখন জানে যে, এ সম্পদ ও জৌলুশতা অপরাধের মাধ্যমে অর্জিত তারপরেও তারা তার প্রতিকার না করে ভোগ করে।পাঠক বলতে পারে কি হতে পারে এর প্রতিকার? আমি এভারটা মৌলভীদের উপর ছেড়ে  দিলাম।প্রকৃতির শেষ রোষানলে বেশির ভাগ সময় প্রকৃত অপরাধীরাই পড়ে।আমরা আমাদের নিকট অতিতের কিছু ঘটনার মাধ্যমে প্রকৃতির ভয়াবহ প্রতিশোধের ধারনা নিয়ে সাবধান হতে পারি।ধরুন ইরাকের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কথা,আমি যার খুবই ভক্ত ছিলাম,উপসাগরীয় যুদ্ধরে সময় তেহরানের সংবাদ শোনার জন্য বন্ধুরা মিলে রাতে এবং সকালে গ্রামের রেডিও অলাদের রেডিওর সামনে বসে থাকতাম কখন ইরাকের পক্ষে সংবাদ আসবে? ইরাকের বিপক্ষের সংবাদ শোনার জন্য আমরা কেহই তখন প্রস্তুত না।সাদ্দাম হোসেন তখন রমরমা ক্ষমতাধর মুসলিম শাসক।মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রক বললেও ভুল হবেনা,মুষ্টিমেয় ব্যক্তি ছাড়া তার ব্যাপারে নেতিবাচক কোন কথা আমাদের দেশে বলাই যেতনা বললেই চলে।সবাই সাদ্দাম ভক্ত,ঐ সময় কারো পুত্র সন্তান হলে নাম রাখত সাদ্দাম।সাদ্দামের উতথানের ইতিহাস বড়ই ভয়ংকর,সাদ্দামের ভিতর যখন ক্ষমতার লোভ জাগ্রত হলো তখন হতেই সাদ্দাম তার কোন প্রতিদ্বন্দীকে দুনিয়ার বুকে থাকতে দেইনি।অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে সে ক্ষমতার মসনদে আরোহন করে ছিলো যার ইতিহাস আমাদের জানা ছিলোনা।ক্ষমতা কুক্ষিগতের পরপর সে বিশ্বের মুসলমানদের নিকট সস্তা নাম কুড়ানোর জন্য মাঝে মাঝে মুসলমানদের পক্ষে আমেরিকা রাশিয়ার বিপক্ষে বুলেটিন মারতে থাকে।তার এই বুলেটিনের উপর ভিত্তি করেই মুলত তার প্রতি আমাদের ভালোবাসা।তবে ইরাকী জনগণের যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তাতে করে সাদ্দাম হোসেনের মত লৌহ মানব শাসক একান্ত প্রয়োজন।প্রকৃতির অভিশাপ কিন্ত সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমা করেনি।নিজের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য নিজের স্পেশাল গার্ড রিপাবলিকান বাহিনী সহ অনেক কৌশল অবলম্বন করেছিল কিন্ত প্রকৃতির প্রতিশোধের নিকট সব তছনছ হয়ে নিদারুন করুন পরিনতির সম্মুখীন হয়ে তাকে মৃত্যু বরন করতে হয়েছে।লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফির নৃশংস করুন মৃত্যের স্মৃতি বিশ্বের দেখতে বাকী নেই।এরকম এমন অনেক ঘটনা পাওয়া যাবে যারাই ধরাকে স্বরা জ্ঞান করেনি,মানুষ হয়ে মানুষের প্রতি জুলুম নির্যাতন সহ অন্যায়ের অভয়ারন্য সৃষ্টি করেছে প্রকৃতির নিকট তাদেরকেই করুন পরিনতির স্বীকার হতে হয়েছে।প্রকৃতি কঠিন ভাবে তাদের নিকট প্রতিশোধ গ্রহন করেছে।আমার এই লেখা যিনারা পড়ছেন অনুগ্রহ করে প্রকৃতির প্রথিশোধ হতে সাবধান থাকবেন।আমার এক বন্ধু আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলো যে যারা ঘুষ খায় তারাতো দেখি ভালোই চলে,আমি তাকে বললাম এটা কি তোমার উপরের দেখা না ভিতরের দেখা? বন্ধু ঠোটটা বিচড়িয়ে বললো ভিতরের কথা বলতে পারবোনা তবে উপরের ঠাটভাট তো ভালই দেখি।আমি বললাম বন্ধু তুমি যার কথা বলছো তার এক মেয়ের ডেবরা চোখ,ছেলেটা প্রতিবন্ধী নিজে হার্টের রোগী,আর একটা ঘুষ খোরের ছেলে ইয়াবা ফেন্সিডিল খাই,আর এক ঘুষ খোরের মেয়ে ইয়াবার নিশাই ঘুষখোর বাবা মা উভয়কেই হত্যা করে জেল খানায়।প্রকৃতির প্রতিশোধ বড়ই কঠিন, সাবধান জাতি সাবধান যাই করো প্রকৃতির প্রতিশোধের কবলে পড়োনা।

◄ In the web of thought

Comments

No comments posted yet.

If you wish to post a comment you must login.

This site uses cookies. By continuing to browse, you are agreeing to our use of cookies.

Find out more Hide this message